আমাদের গাঁজানো রসুন মধু সবার থেকে আলাদা, উপকারিতা ও কার্যকারিতাও সবার থেকে বেশি। না, ঢোল পেটাচ্ছি না, আমাদেরই কাস্টোমারদের রিভিউ শোনাচ্ছিলাম। অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন, আমরা এটা কিভাবে মেইনটেইন করি! সত্যি বলতে, অনলাইনে ইউটিউব ভিডিও দেখে অনেকেই লেগে পড়েন গাঁজানো রসুন মধু বানিয়ে সেল দিতে। আপনি অনলাইন ভিডিও দেখে বানিয়ে নিজে খেতে পারেন কিন্তু ব্যবসা করা কতটুকু উচিৎ তা আমরা আজকে জানবো।
মুলত গাজানো রসূন মধু এর কার্যকারিতা অসাধারন। প্রথমত মধুর এন্টিবায়োটিক প্রোপার্টি ও রসুনের একটি উপাদান, দুটির কম্বিনেশন হয় অসাধারন কিন্তু আজ আমরা জানবো এটি কিভাবে কাজ করে।
রসুনের মধ্যে থাকে একটি এন্টি-ব্যাক্টেরিয়াল প্রোপার্টি যার নাম অ্যালিসিন(Allicin)। এটির কাজ অনেক, এটি যেভাবে কাজ করে তা হচ্ছে আপনার শরীরের একাধিক হরমোনের সৃষ্টির জন্যও শরীরে ভালো কোলেস্টেরল (HDL) প্রয়োজন। অপরদিকে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের (LDL) মাত্রা বেড়ে গেলে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে।
এই অ্যালিসিন LDL এর সাথে বিক্রিয়া করে তাকে টেস্টেস্টোরনের রুপান্তর করে যার ফলে শুক্রানু বৃদ্ধি পায় ও LDL এর মাত্রা কমে, অন্যদিকে শরীরে LDL এর মাত্রা কমে যাবার কারনে হার্ট এর সুস্থতা নিশ্চিত হয়। অপরদিকে
অ্যালিসিন(Allicin) একটি এন্টি ব্যাক্টেরিয়াল প্রোপার্টি যা ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এর কারনে সর্দি-কাশি এর যাদের প্রব্লেম আছে তাদের ১-২ চামচ খেলেই রোগের উপশম হয়ে যায়।
এখন কথা হল অনেক কিছু তো বুঝলাম, আমাদের সাথে সবার পার্থক্য কোথায়? !!!
পার্থক্যটা হচ্ছে, মানুষ মনে করে রসুন আর মধু মিশিয়ে ৩ মাস রাখলেই তা গাঁজন হয়ে যায়। কথা সত্য হলেও এতে অধিকাংশ অ্যালিসিন(Allicin) নস্ট হয়ে যায়। যার খুব কম প্রভাব আমাদের শরীরে পরে ও আমরা ভাবি অনেক কাজ হয়েছে। আমাদের টা এই কারনেই অনেকের থেকে বেশি কাজ করে কারন আমরা সঠিক তাপমাত্রা মেইন্টেইন করি, এতে মধুর কোয়ালিটি অ্যালিসিন একেবারে এটুট থাকে। এক চামচ খাওয়ার ৫-১০ মিনিটের মধ্যে ই অনুভব করা যায়।
রক্তের ক্ষতিকর LDL কমিয়ে ফেলার কারনে রক্ত হয়ে যায় পরিষ্কার, এর কারনে ব্রন ও অন্যান্য প্রব্লেম চলে যায় অনায়েসে। শরীরে শক্তির পরিমাণ থাকে প্রচুর। আপনি সঠিক ভাবে গাঁজানো রসুন মধু খাওয়া শুরু করলেই শুধু তা বুঝতে পারবেন।
এখন শরীর যতই দুর্বল হোক না কেন প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক টেবিল চামচ মধু ও ৩-৪ স্লাইস রসুন খাবেন। বাকীটা সারাদিনে বুঝবেন